মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফয়সাল আহমেদ খোকনের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে মোহনগঞ্জ পৌর শহরের স্টেশন রোডে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়। উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজন করা এ মানববন্ধনে কয়েকশত নেতাকর্মী অংশ নেন।
এতে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্নায়েন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মাসুম, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন তালুকদার জীবন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জামিউল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব জাকির হোসেন বাবু, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুশ সাদি চৌধুরী অপু সদস্য সচিব কিরন খা্ প্রমূখ।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্নায়েন বলেন, খোকন দলের একজন নিবেদিত কর্মী। এরআগে দলের বিভিন্ন পদে ছিল। সবাই তালো মানুষ হিসেবেই জানে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সত্যি নয়। আমরা খোকনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই।
পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মাসুম বলেন, সদস্য সচিব খোকনকে গত ১৭ বছর রাজনীতির মাঠে পেয়েছি। তাকে নিয়ে আন্দোলন করেছি,, মামলা খেয়েছি, একসাথে জেল খেটেছি। গণমাধ্যমে তার বিষয়ে যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে, আমরা তার নিন্দা জানাই। সঠিক তদন্ত করে খোকনের বিষয়টি সুরাহা ও তার বহিষ্কার প্রত্যাহার করতে কেন্দীয় যুবদলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অন্যান্যা বক্তারা বলেন, খোকন দলের দুঃসময়ের নিবেদিত কর্মী। মিথ্যা প্রচারণার জন্য খোকনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা অন্যায় ও অগ্রহণযোগ্য। তারা খোকনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
গত শুক্রবার কে বা কারা আওয়ামীলীগ কর্মী জসিমউদদীন কুলি নামে এক ব্যাক্তিকে কে বা কারা কুপিয়ে জখম করে, তার পরিপ্রেক্ষিতে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফয়সাল আহম্মেদ খোকনকে বহিস্কৃত করা হয়।
এদিকে হামলার পরদিন শনিবার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সদস্য সচিব ফয়সাল আহমেদ খোকনকে দল থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় যুবদল। এতে মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।