সংবাদদাতা : দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
ইসরাইল কর্তৃক গাজায় বর্বরোচিত গণহত্যা ও সন্ত্রাসী আক্রমণের প্রতিবাদে গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা এর সাথে একাত্মতা পোষণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুড়ে বিভিন্ন দলের ব্যানারে একের পর এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্র জনতা, উলামা সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের ব্যানারে জড়ো হতে শুরু করলে সেখান থেকে মুক্ত মঞ্চে এসে সকলে জড়ো হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক হয়ে কাউতলী গিয়ে বক্তব্য ও দোয়ার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
এসময়হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক মুফতি ইসহাক আল হুসাইন সুলতানপুরী বলেন, গাজা ও রাফায় ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ঘোষণা করছি। ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর নৃশংস হামলায় ইতিমধ্যেই হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ শাহাদাত বরণ করেছেন। শিশু নারী ও বৃদ্ধদেরকে অবৈধ দখলদার ইসরাইলের সেনারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। গাজা উপত্যকা আজ মৃত্যুর উপত্যকা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
উলামা সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেক্রেটারি মুফতি রহমতুল্লাহ হানাফি বলেন, আজ আমার ফিলিস্তিনি মুসলমানরা এমন একটি দুর্যোগপূর্ণ সময় অতিবাহিত করছে যা ইতিপূর্বে কোন জাতি কিংবা গুষ্টির উপর দিয়ে অতিবাহিত হইনি। মুসলমান হিসেবে আমাদের কর্তব্য ছিল আমাদের ভাইদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পারি যেই সময়ে ফিলিস্তিনের মাটিতে ছোট ছোট মাসুম বাচ্চা সহ আমার মুসলমান নিরীহ ভাই ও বোনরা শহীদ হচ্ছে তাদের নিথর দেহ বোমা বিস্ফোরিত হওয়ার সাথে সাথে আকাশে উড়ে যাচ্ছে ঠিক একই সময়ে আরবিও লিডাররা তাদের দেশকে ইউরোপে রুপান্তর করতে ব্যস্ত এবং অনারবরা যার যার দেশীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত অথচ উচিত ছিল ঐক্যবদ্ধভাবে ৫৭টি মুসলিম কান্ট্রি এবং ২০০ কোটি মুসলমানের পক্ষ থেকে ইহুদি বাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা ।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই মিছিল ও প্রতিবাদী সমাবেশ থেকে গোটা মুসলিম বিশ্বের লিডারদের প্রতি আহ্বান থাকবে, ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের নিরীহ ভাইদের পাশে দাঁড়ান এবং আমাদের প্রথম কিবলা কে হেফাজত করুন।
শেখ আরিফ বিল্লাহ আজিজি বলেন, ইজরায়েলের সন্ত্রাসীর চাচ্ছে ফিলিস্তিনকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে, কিন্তু গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের পাশে দাড়িয়ে ফিলিস্তিনকে বিজয় করে ইজরায়েলী আধিপত্যবাদের কবর রচনা করবে ইনশাআল্লাহ।
তাসিন আরাফাত তন্ময় বলেন, আমরা আমাদের এই সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছি ইসরায়েলের সাথে বাংলাদেশের কোনো ধরনের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখা যাবেনা। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েলী সকল পণ্যকে বয়কট ঘোষণা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের সাথে গনহত্যায় সাহায্যকারী পশ্চিমা সকল রাষ্ট্রগুলোকে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক চাপে রাখতে হবে।
পরিশেষে মুফতি বশির আহমাদ এর দোয়ার মাধ্যমে উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদী সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।