মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় সরকারি নিয়ম না মেনে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইট ভাটা। গাংনীতে প্রায় ৫৬ টি অবৈধ ইট ভাটা রয়েছে। এর অধিকাংশই পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম বর্হিভূত। যদি ও সরকারি ভাবে এই সকল ইট ভাটা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাটায় মোটা অংকের জরিমানা করা হয়েছে। গাংনী উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন নিজে উপস্থিত থেকে অধিকাংশ ভাটাকেই অবৈধ ঘোষণা করে ভাটা বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা? গাংনীর অধিকাংশ ভাটা অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও নতুন ইট কাটার এবং ইট পোড়ানোর মহাউতসবে মেতে উঠেছেন অবৈধ ইট ভাটার মালিকগণ। এই সকল ইট ভাটা বন্ধ ঘোষণা করার পূর্বে ইট বিক্রি হতো প্রতি গাড়ী ইট ১৪০০০-১৪৫০০/- টাকায়। কিন্তু বর্তমানে ভাটা বন্ধ ঘোষণা করার পর ইট বিক্রি হচ্ছে ১৮০০০- ১৮৫০০/- টাকায়। ইটের দামের ব্যাপারে জানতে চাইলে কিছু ভাটা মালিক বলেন আমরা তো লোকসান গুনতে পারবো না। অন্য দিকে ইটের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন সাধারণ ক্রেতারা। এই সকল ইট ভাটা তৈরির সময় মানা হয়নি পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন নিয়ম কানুন। যেমন, গাংনীর বালিয়া ঘাটের M R B মামুন ব্রিকস নামের যে অবৈধ ইট ভাটা টি রয়েছে এটা মূলত গ্রামের মাঝখানে অবস্থিত। বসত বাড়ি সংলগ্ন এই অবৈধ ইট ভাটার চতুর পাশে বসত বাড়ি রয়েছে। এর ফলে স্থানীয় জন সাধারনের জীবন মান হুমকির মুখে পড়েছে। এই অবৈধ ইট ভাটার মালিক পিন্টু মিয়ার নিকট এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মিডিয়া কর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নন বলে জানিয়ে দেন। সর্বপরি গাংনীর অধিকাংশ ভাটা মালিক আইনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ ইট ভাটার রমরমা ব্যবসা।
(০১) বলাকা ব্রিকস, আহসান হাবীব মিলন, হিজলবাড়ীয়া।
(০২) S H B C ইকরামুল হক, হিজলবাড়ীয়া
(০৩) M R B মামুন ব্রিকস পিন্টু মিয়া, বালিয়াঘাট।
(০৪) মাসুম ব্রিকস, রেজাউল মাস্টার, ভোলারদাড়
(০৫) শাপলা-২ মাজহারুল ইসলাম, নওদামটমুড়া
(০৬) S M S ব্রিকস, রাম নগর
(০৭) W M C F ব্রিকস, ওয়াসেল হাজী, পীরতলা
(০৮) BOSS সাইদুর রহমান, চর গোয়ালগ্রাম।
(০৯) পায়রা ব্রিকস, বশির আহমেদ, আড়পাড়া
এই সকল ইট ভাটার মালিক গণ বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা অবৈধ ইট ভাটার ব্যবসা।
এ ব্যাপারে ইট ভাটার মালিক সমিতির সভাপতি এনামুল হকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার ভাটাটি বন্ধ রেখেছি। অন্যান্য ভাটার ব্যাপারে আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবোনা কারণ কোন কথা কার বিরুদ্ধে চলে যাবে তখন আমি ঝামেলায় পড়ে যাবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মেহেরপুর পরিবেশ অধিদপ্তরে তথ্য জানার জন্য মোবাইল ফোনে কল দিলে কর্তৃপক্খ কল রিসিভ করেন নাই।
এব্যাপারে মেহেরপুর ডি সি মহোদয়ের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা অধিকাংশ ভাটা অবৈধ ঘোষণা করে বন্ধ করে দিয়েছি। যদি কোন ভাটা মালিক আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে ভাটা চালায় তাহলে পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।